বর্তমান পরিস্থিতিতে কৌশলগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো অর্জন নিশ্চিত করতে এবং সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতিতে বাজেট প্রণয়ন করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট কাঠামো অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ এবং পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর ডিভিশনে এক প্রস্থ করে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো সংশোধন ও হালনাগাদ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সেখানে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, যদি কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাজেটভুক্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে একাধিক সেক্টর বা ডিভিশন সংশ্লিষ্ট থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট সব সেক্টর বা ডিভিশনে সংশোধিত বা হালনাগাদ করা বাজেট কাঠামো পাঠাতে হবে।
পরিপত্রের সব দিকনির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে বাজেট কাঠামো, রাজস্ব ও প্রাপ্তি এবং ব্যয় প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণগুলো হালনাগাদ বা প্রণয়ন করে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।
মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতিতে যে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে তা তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে, কৌশলগত পর্যায়, প্রাক্কলন পর্যায় এবং বাজেট অনুমোদন পর্যায়। কৌশলগত পর্যায়ের প্রথম ধাপে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যমান মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো হালনাগাদ করতে হয়।
মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বাজেট কাঠামো সংশোধন বা হালনাগাদ করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, সরকারের মৌলিক নীতিনির্ধারণী দলিলগুলোতে প্রতিফলিত কৌশলগত নীতি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে বাজেট বরাদ্দের যোগসূত্র স্থাপন করা। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়/ বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থাগুলোর কর্মকৃতির সঙ্গে বাজেট বরাদ্দের যোগসূত্র অধিকতর শক্তিশালী করা এবং মধ্যমেয়াদে প্রাপ্য সম্পদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বাস্তবসম্মত ব্যয় পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
রাজস্ব ও প্রাপ্তির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রাজস্ব আহরণের মধ্যমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
প্রাথমিক সম্ভাব্য ব্যয়সীমা নির্ধারণের উদ্দেশ্য হচ্ছে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যমেয়াদে কী পরিমাণ সম্পদ পেতে পারে সে সম্পর্কে আগাম ধারণা দেওয়া এবং প্রদত্ত ব্যয়সীমার মধ্যে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়সংবলিত একটি সমন্বিত বাজেট কাঠামো প্রস্তুত করা।