সারা দেশে দৈনিক দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা এবং শহরে বিদ্যুৎ থাকছে না কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত। জ্বালানি সংকট, যান্ত্রিক ত্রুটিসহ বিভিন্ন কারণে কমেছে বিদ্যুতের উৎপাদন।
এই তীব্র লোডশেডিংয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোটার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “বড়পুকুরিয়ায় কারিগরি সমস্যা হয়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে। রামপাল পুনরায় চালু হয়েছে, আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ও দ্রুত গ্যাস আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে।”
দ্রুতই স্বাভাবিক হচ্ছে না বিদ্যুৎ পরিস্থিতিদ্রুতই স্বাভাবিক হচ্ছে না বিদ্যুৎ পরিস্থিতি
গত কিছুদিনে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মানুষ এ নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে। গরম আর লোডশেডিং, দুই মিলিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। তুলনামূলক শহরে কিছুটা কম হলেও গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে। কখনো কখনো ১২ ঘণ্টার বেশি সময় মিলছে না বিদ্যুৎ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা বৃদ্ধি আর উৎপাদন কমে যাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে।
দেশে দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট। একই সক্ষমতা থাকার পরও ২০২২ ও ২০২৩ সালে তাপপ্রবাহের সময়ে তীব্র লোডশেডিং হয়েছিল।