তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম নির্ধারণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
স্বর্ণের নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২২৫ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা এক হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা এক হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট স্বর্ণের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়। সে সময় সব থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২২২ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
সে সময় ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৯ হাজার ৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তার আগে ১৮ আগস্ট স্বর্ণের দাম কমানো হয়। তারও আগে ২১ জুলাই স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। সে সময় সব থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৭৭৮ টাকা।
এর আগে গত ২০ জুলাই ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৭৭৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম দুই হাজার ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরির দাম এক হাজার ৯২৪ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৪৬৪ টাক এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ৭০১ টাকা করা হয়।
তারও আগে গত ৭ জুন সব থেকে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৯৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়।
তার আগে ২৮ মে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা কমিয়ে ৯৬ হাজার ৬৯৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৭৪ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৩২০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ১৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতি দাম ভরিতে ২৯১ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা করা হয়েছিল।
গত ২ এপ্রিল ২২ ক্যারেট প্রতি ভরির দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৬৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম এক হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ১২৩ টাকা এবং আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৫৯৩ টাকা করা হয়।
এদিকে স্বর্ণালংকার কিনতে ক্রেতাদের বাজুস নির্ধারিত দামের থেকেও বাড়তি অর্থ গুণতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণালংকার বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী এক ভরি স্বর্ণের অলংকার কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৮ হাজার ৫২১ টাকা গুণতে হবে।