আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ১০-১৫ বছর বয়সী মেয়েদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, “নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার দিন দিন বাড়ছে। তাই স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। এটি রোধে মেয়েদের এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।”
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এইচপিভি খুব দামি ভ্যাকসিন হলেও তা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেককে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন একবার নিলে তারা আজীবন এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যায়।”
জাহিদ মালেক বলেন, “আমাদের দেশের নারীদের এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ভাবছি। এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন ভ্যাকসিনের মতোই এটি দেওয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের এ ভ্যাকসিন দিলে তা কার্যকর হবে।”
তিনি বলেন, “ব্রেস্ট ক্যানসারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেটি যেন দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সে জন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের দেশের মেয়েরা রক্তশূন্যতায় ভোগে, এটি নিয়ে কর্মসূচি রয়েছে। যদিও খাদ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটি কমে আসছে।”
নিপাহ ভাইরাস প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “নিপাহ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে। নতুন কোনো রোগী পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যুও হয়নি। বক্ষব্যাধি হাসপাতালে একটি ইউনিট করা হয়েছে। আইসিইউ রয়েছে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেন যথাযথ চিকিৎসাসেবা পায় সেই ব্যবস্থাও রয়েছে।”