দেশের জিডিপি ২০২৪ অর্থবছরে সামান্য বেড়ে ৬.৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিপি)। আগের অর্থবছরে জিডিপি ছিল ৬ শতাংশ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর) ২০২৩’ প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতি কমারও পূর্ভাবাস দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবছরের ৯ শতাংশের তুলনায় চলতি অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৬.৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বা চলতি হিসাবের ঘাটতি কিছুটা কমেছে। ফলে মূল্যস্ফীতি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। চলতি হিসাবের ঘাটতি আগের অর্থবছরে জিডিপির ০.৭ শতাংশ থেকে ২০২৪ অর্থবছরে কিছুটা কমে ০.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৈশ্বিক চাহিদা প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির অবনতি হতে পারে, যা এই (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাসের প্রধান ঝুঁকি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং বলেন, “বাহ্যিক আর্থিক অনিশ্চয়তার পরেও সরকার তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। কারণ কাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে জরুরি সংস্কার করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এই মূল কাঠামোগত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদে সংহতি বৃদ্ধি, সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি এবং আর্থিক খাতকে আরও সম্পৃক্ত করা– যা বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এছাড়া, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের প্রবণতা বাড়বে, যা সরকারের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।