রাজধানীর ধানমন্ডিতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুজন মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিপা আক্তার (৩৫) নামে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে নিপার স্বামী টোটন (৩৫) মারা যায়। বর্তমানে নিপার তিন বছর বয়সী ছেলে বায়েজিদ ৪৫ দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি আছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধানমন্ডি শুক্রাবাদ ২৭ নম্বর রোডের বাজার মসজিদের পাশের গলির একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিপার মা রেহানা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার কাচারীকান্দি গ্রামে। নিপার বাবার নাম আবুল হোসেন। চলতি মাসের ১ তারিখেই শুক্রাবাদ বাজার মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া উঠেছিলেন টোটন-নিপা দম্পতি। নিপার স্বামী টোটন কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তে কাজ করেন। আর নিপা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তিন সন্তানের জনক জননী তারা। তবে বড় দুই ছেলে-মেয়ে গ্রামে দাদা-দাদির কাছে থাকে। ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ বাবা-মায়ের সঙ্গে ওই বাসায় থাকত।
তিনি আরও জানান, ভোর পাঁচটার দিকে নিপা নিজেই কল দিয়ে তাকে জানান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে। তাদের শরীরও পুড়ে গেছে। তাদেরকে দ্রুত বাঁচানোর আকুতি জানান। এর বেশি আর কিছু বলতে পারেনি তখন। পরবর্তীতে ওই বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছেন।
বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা।