দীর্ঘ এক মাস ১০ দিন পর রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪ পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে মরদেহ চারটি হস্তান্তর করেন।
মরদেহগুলো হলো, রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪৪) ও পুরান ঢাকার নাতাশা জিয়াসমিন নেকি (২৫)।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদাউস আহাম্মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় মরদেহ চারটি একবারেই পোড়া ছিল। এজন্য চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিং করা হয়। এর মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। আজ লাশগুলো স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হলো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রিমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেছেন। আমার বাচ্চা সারাজীবন কি বলবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই।
নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝিয়ে পেলাম। এই ৪০দিন যে আমাদের পরিবার কীভাবে কেটেছে তা বুঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয় এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।