ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলএনজি টার্মিনাল এখনো সচল না হওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে কেনা তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ৪টি জাহাজ বাতিল করেছে পেট্রোবাংলা। এ কারণে ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট অব্যাহত রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে পাইপলাইন থেকে দূরে থাকা শিল্প-কলকারখানার মালিকরা। কারণ গ্যাসের চাপ কম থাকায় পাইপলাইন থেকে দূরবর্তী শিল্প কারখানাগুলোতে সহজে গ্যাস পৌঁছে না। পাশাপাশি চাপ কম থাকায় সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গাড়িতে গ্যাস ভরা যাচ্ছে না।
পেট্রোবাংলা বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে গ্যাস ভর্তি কার্গো খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে স্পট মার্কেট থেকে কেনা ৪টি স্পট কার্গো বাতিল করা হয়েছে।
সংশ্লিস্ট সূত্র জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত টার্মিনালটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সামিট তাদের টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এলএনজি সরবরাহে অপারগতার কথা পেট্রোবাংলাকে জানিয়েছে।
মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর মে মাসের শেষের দিকে সামিট একটি ভাসমান স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটটির (এফএসআরইউ) কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কোম্পানিটি পরে জানিয়েছে, ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে কাজ করা এফএসআরইউটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর বা মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হবে।
সামিটের টার্মিনাল বিভ্রাটের কারণে পেট্রোবাংলা মে মাসের শেষ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেলিভারির জন্য নির্ধারিত চারটি স্পট কার্গো বাতিল করে। সামিটের ক্ষতিগ্রস্ত টার্মিনালটির ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এ টার্মিনালটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।