ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১২ জুলাই) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ তিনি এ কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে ঘরে ফিরবেন জানিয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ঢাকা দখলে রাখা হবে।”
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তাপস বলেন, “আজ বাংলাদেশের একমাত্র কাণ্ডারি শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ঢাকাসহ সারা দেশে দুর্গ গড়ে তোলা হবে। বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করা হবে।”
এর আগে বিএনপিকে বিশ্বাসঘাতক ও মীর জাফরের দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, “বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা বিদেশিদের হাতে আজকে বাংলাদেশকে তুলে দিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “বিএনপি দেশ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। আর আওয়ামী লীগ দেশের কল্যাণে দেশ টিকিয়ে রাখতে চায়।”
সমাবেশে বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের কুফল তুলে ধরেন এবং শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন চিত্র নেতাকর্মীদের কাছে উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত আবার ক্ষমতায় আসতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “বিএনপি আজকে নয়াপল্টনে সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তারা ভালো করেই জানে, আওয়ামী লীগ কোনো দিন আন্দোলনকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিরোধ করার ডাক দিলে, তাদের কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাবে না।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, “বেশি উড়বেন না, তাহলে হাতপাখাও থাকবে না।” এ সময় তিনি বিএনপি ও জামায়াতকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক এ কে এম আনদুল আওয়াল শামীম বলেন, “চিকিৎসক, শিক্ষক, শ্রমিক, সাংবাদিকসহ দেশের পেশাজীবী ও শ্রমজীবী সকল মানুষ আওয়ামী লীগকে আনারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। আওয়ামী লীগের বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। আপত্তি শুধু বিএনপি-জামায়াতের। তাই তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ হচ্ছে আন্দোলন ও সংগ্রামের দল। আওয়ামী লীগকে কখনো আন্দোলন করে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব না। ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে করতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।