• ঢাকা
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল, এমপি আহমদ ও রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল আটক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল, এমপি আহমদ ও রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল আটক
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, আহমদ হোসেন এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ হোসেন এবং নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল আটক হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট)  রাতে তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, তাজুলকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা, আহমদ হোসেনকে গুলশান এলাকা এবং সোহায়েলকে বনানী থেকে আটক করা হয়েছে।

আটক অভিযানে থাকা ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের দুজনকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না।

ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একই সঙ্গে তিনি দলটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। কিন্তু পরে বাদ পড়েন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আর সোমবার রাতে নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর নৌবাহিনী এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরালে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের অনুগ্রহভাজন হিসেবে রিয়ার অ্যাডমিরালে পদোন্নতি পান তিনি।

মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০১০ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছর মোহাম্মদ সোহায়েল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ডিরেক্টর ছিলেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে গুম এবং হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

Link copied!