বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চারবারের সংসদ সদস্য (এমপি) এবায়দুর রহমান চৌধুরী (৭৮) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গণমাধ্যমকে মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশিদ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় প্রথম জানাজার পর বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রামের বাড়ি নেওয়া হবে এবায়দুর রহমানের মরদেহ। পথে মৌলভীবাজার শহরে দ্বিতীয় ও বেলা ১১টায় বড়লেখায় তৃতীয় জানাজা শেষে গাংকুল গ্রামে দাফন করা হবে।
এদিকে, এবায়দুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও শহীদ জিয়ার নীতি ও আদর্শই ছিল মরহুম এবায়দুর রহমান চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের পাথেয়। গণতন্ত্রের প্রতি তার ছিল অবিচল আস্থা। তিনি ছিলেন একজন জনঘনিষ্ঠ মানবহিতৈষী রাজনীতিবিদ। জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে তিনি রাজনীতি করতেন, আর এজন্যই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়ভাজন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি দেশ-জাতি-জনগণের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। দলীয় নীতি ও আদর্শ থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”