টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলার চারটি পাহাড়ি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ওইসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও মৃগী নদীতে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার বিকেল থেকে সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে বন্যার কারণে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন নয়জন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ১৩৮ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী নদীর পানি ৭৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার বাগবেড় গ্রামের কৃষক হাসমত মিয়া ও রহিম শেখ বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। অনেক এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি।
বন্যায় বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শরিফুল ইসলাম জানান, চারদিন যাবত বন্যা হলেও এখনও ত্রাণ পাননি তারা। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে নয়জন। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমরা সব জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এ কাজে সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ সবাই এগিয়ে এসেছেন। সবাই মিলে আমরা এ দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।”