নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন থামছেই না। হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর ঘোষণার আগেই বাজার থেকে উধাও চিনি। দশ দোকান ঘুরে চিনি কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। নিত্যপণ্যের দামের এমন ঊর্ধ্বমুখীর জন্য বিশ্ববাজারে অস্থিরতা, অতিরিক্ত আমদানি-নির্ভরতা ও সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চিনি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এরপরও বাজারে পর্যাপ্ত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরই বাজারে চিনির কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাসার আশপাশের কোনো দোকানে চিনি না পেয়ে কারওয়ান বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নাঈম। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “তেজকুনি পাড়ার কোনো মুদিদোকানে চিনি নেই। এখানে এসে ১০-১২টা দোকান ঘুরে চিনি পেয়েছি। তবে সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি।”
কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান জেনারেল স্টোরের কামরুল হাসান বলেন, “বাজারে কোনো চিনি নেই। কবে চিনি আসবে, তারও ঠিক নেই। দুই সপ্তাহ ধরে পাইকাররা চিনি দেওয়ার কথা বলছেন। তাদের কাছেও নাকি চিনি নেই। তাই পাইকারি দোকান থেকে চিনি না পেয়ে আপতত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।”
এদিকে একই অবস্থা রাজধানীর মাছের বাজারগুলোতেও। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০, চাষের কই ২৮০ থেকে ৩০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০, শিং মাছ (ছোট) প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৫০, কাচকি ৪০০ থেকে ৪২০, বোয়াল ৬০০ থেকে ৬৫০, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৬৫০, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০, সিলভার কার্ভ (ছোট) ২৫০ থেকে ২৮০, বড় কাতল প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০, গাজর ৮০, টমেটো ৮০, ঢেঁড়স ৪০, বরবটি ৬০, পটোল ৬০, করলা ৬০ থেকে ৮০, কাঁকরোল ৮০, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০, শসা ৬০, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।