রাজধানীর সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সামসুজ্জামানের নামে বুধবার (২৯ মার্চ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন কল্যাণপুরের বাসিন্দা সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত এই সংবাদ ও মামলার এই ঘটনায় শহর ছেড়ে গ্রামের পথে-প্রান্তরে এবং রাস্তার ধারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট-বাজারেও চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা। গণমাধ্যমকর্মীরা এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং সংগঠনগুলো গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সরকার ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, “প্রথম আলো পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশিত করা হয়েছে, তা রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ প্রকাশে দেশের ভাবমূর্তিতে বিন্দুমাত্র আঁচড়ও পড়বে না। কারণ প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব চ্যালেঞ্জ রয়েছে; সেই চ্যালেঞ্জ নিজস্ব উপায়ে আমরা মোকাবিলা করছি; স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে সবার দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
এদিকে, দেশের বহুল প্রচারিত একটি দৈনিক পত্রিকায় মাত্র ১০ টাকা দিয়ে একটি প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুর ছবি তুলে তার ভাষ্য দিয়ে এবং তার নাম, পরিচয় ভুয়া ছাপিয়ে একটি গর্হিত অপরাধ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞ মহল। বিজ্ঞ মহল মনে করছে, একদিকে এই ঘটনাটি যেমন শিশু শোষণ আইনের আওতায় পড়ে। তেমনি একটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে একটি শিশুকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত কথা বলানো রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনেও পড়ে।
তারা বলছেন, ১০ টাকা দিয়ে কি পাওয়া যায়? একটি আইসক্রিম, একটি চকোলেট। একটি শিশু সাধারণত ১০ টাকা দিয়ে একটি আইসক্রিম বা চকোলেট কিনে খেয়ে থাকে। জীবনের বাস্তবতাগুলো স্বাভাবিক পক্ষেই তার অজানা বিষয়। আর দেশের প্রচলিত আইন, এ সম্পর্কে তার নিতান্তই কোনো ধারণা থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকীয় প্যানেল জেনে-শুনে এমন গর্হিত অপরাধ করতে পারে না। প্রথম আলো ইচ্ছাকৃতভাবেই, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি ছোট্ট শিশুকে মাত্র ১০ টাকা হাতে তুলে দিয়ে সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আরেকটা ‘বাসন্তী গল্প’ বানানোর চেষ্টা করেছিল প্রথম আলো। কিন্তু সচেতন মানুষদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে সেই মিথ্যাটি আর প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি প্রথম আলো।
জানা গেছে, দৈনিক প্রথম আলোর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ভাইরাল হওয়া খবরের ছবি ছিল, ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে একটি শিশু।
প্রথম আলোর ভাষ্যমতে, শিশুটির নাম জাকির হোসেন। শিশুটির উদ্ধৃতি ছিল এমন- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। কিন্তু পরে জানা গেছে, প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ‘ভুয়া’। শিশুটির নাম সবুজ এবং সে প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। সে মোটেও দিনমজুর নয়। বরং সে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য স্কুল শেষ করে বিকালে মায়ের সঙ্গে ফুল বিক্রি করে।
এ ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এই মামলার বাদী হয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন করা প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ‘বাসন্তীর’ গায়ে কাপড় না দিয়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি। এখনো একটা জালের দাম কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি। ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন এটি সংবাদ হয়েছে। ২৬ মার্চের ঘটনা বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই।”
তিনি আরও বলেন, “২৬ মার্চে অনলাইনে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা অবশ্যই রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হেনেছে।”
বহু ষড়যন্ত্র করেছে প্রথম আলো
দেশের বহুল প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, “জাতীয় এ দৈনিকটি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বহু ষড়যন্ত্র করেছে। এখন তাদের মিথ্যা খবরের দায় নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “মিথ্যা খবরের দায়ভার প্রথম আলোকেই নিতে হবে। এটাই প্রথম নয়, এই প্রথম আলো বহুবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। নিউজটিকে কেন্দ্র করে প্রশাসন যখন ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন মির্জা ফখরুল সাহেব বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, এতে অসুবিধা কী? আমার তো বোধগম্য হয় না। মির্জা ফখরুলের বোধের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নেই।”
মামলা প্রসঙ্গে যা বললেন আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে বা হচ্ছে সেটা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি স্বীকার করি আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। আপনারা যদি জনগণকে সত্য তথ্য প্রকাশ করেন তাহলে কোনো মতেই এই সরকার সাংবাদিকদের বাধা দেবে না। বুধবার রাতে প্রথম আলোর রিপোর্টারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হয়েছে। অথচ এই আইনে মামলা হলে প্রথমে সেলে পাঠানো হবে। কিন্তু দেখলাম তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।”
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলায় যখন তথ্য দেওয়া হবে তখন যদি প্রাইমাফেসি কেস না থাকে তখন প্রাইমাফেসি কেস নির্ধারণের জন্য আগে সেলে পাঠানো হবে এবং সেলের পরীক্ষার পর মামলা নেওয়া হবে। কিন্তু বুধবার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলাটি করা হয়েছে তার যে বিবরণী তা যদি দেখে থাকেন তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যে মামলা হয় সেটার তথ্য-উপাত্ত কিন্তু সেখানে ছিল। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না বলে এই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।”
প্রথম আলোর সাংবাদিককে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছিল, পরে বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়েরের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পুলিশের একটি বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডেকে নিয়েছিল। তারা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়েও দিয়েছিল। কিন্তু আপনারা জানেন, সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মামলা হচ্ছে এবং কয়েকটি মামলা এরই মধ্যে হয়ে গেছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে আবারও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
সাংবাদিক গ্রেপ্তার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ প্রকাশে দেশের ভাবমূর্তিতে বিন্দুমাত্র আঁচড়ও পড়বে না।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইওসি রিজিওনাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশানের (আইসিওআইএনডিও) নবম আন্তঃসরকারি অধিবেশনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের যে অর্জন শুধু অর্থনৈতিক নয়, অ্যাকাউন্টিবিলিটির ক্ষেত্রেও আমাদের যে অর্জন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই তা পারেনি। সে জায়গা থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এসব বিষয়ে আমাদের ভাবমূর্তিতে ন্যূনতম আঁচড়ও পড়বে না।”
তীব্র নিন্দা জানিয়ে যা বলছে টিআইবি
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তার বাসা থেকে গভীর রাতে তুলে নেওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি মনে করে, এই ঘটনা সাংবাদিক ও দেশের একজন নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের এবং প্রয়োজনে শায়েস্তা করার ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “প্রেস কাউন্সিল আইনকে উপেক্ষা করে সরাসরি কোনো প্রতিবেদককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজামিনযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং সমালোচনামূলক বা ভিন্নমত প্রকাশ করলে শায়েস্তা করার সরকারি অভিপ্রায়কে স্পষ্ট করে তোলে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হয় তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হবে না। বর্তমানে তাকে আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়েছে।
এর আগে উদ্দেশ্যমূলক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) গভীর রাতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে।
এর আগে, একই অভিযোগে তেজগাঁও থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শামসুজ্জামান শামসকে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়।
কার্ডে বলা হয়, “পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।” সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও, ছবি দেওয়া হয় এক শিশুর।
ওই কার্ড দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রথম আলো। খবরটি সংশোধন করে তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই একটি বেসরকারি টেলিভিশন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সেখানে দেখা যায়, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিতে যা পরিবেশন করা হয়েছে, তা ভুল। শিশু জাকির হোসেন আসলে দিনমজুর নয়, একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী, তার নাম সবুজ। টাকার বিনিময়ে তার ছবি তোলা হয়েছে।