রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজ নির্বিঘ্ন করতে সিটি কলেজ থেকে নিউ মার্কেটমুখী সড়কগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে নিউ মার্কেটসংলগ্ন তিনতলা এই বিপণিবিতানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং বিজিবির সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।
আগুন লাগার পরপরই নিউ সুপার মার্কেটের সামনের মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ওই সড়কে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো অবস্থান নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আগুন নেভানোর কাজটি নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হিমেল। তিনি জানান, সকাল ৯টায় রওনা করে এখনো সায়েন্স ল্যাব ক্রস করতে পারেননি। এক ঘণ্টা ধরে জ্যামে বসে রয়েছেন।
রেজাউল নামের অপর এক যাত্রী বলেন, গাড়ির চেয়ে সড়কে উৎসুক জনতার ভিড়ই বেশি। ফলে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে মিরপুর, মোহাম্মদপুর থেকে আজিমপুর, সদরঘাট এলাকায় চলাচল করা গাড়িগুলো সায়েন্স ল্যাব থেকে কাঁটাবন হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে পুরো এলাকাজুড়েই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, মিরপুর সড়কের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং পলাশী মোড় থেকেই গাড়িগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ মিরপুর সড়ক হয়ে নিউ মার্কেটের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা বাসগুলো ধানমন্ডি ২৭ নম্বর দিয়ে ফার্মগেটের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিটি কলেজ দিয়ে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে শুধু ছোট গাড়িগুলো যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে নিউ মার্কেটের দিকে কোনো গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে আজিমপুর থেকে নীলক্ষেতের দিকেও ছোট গাড়ি ছাড়া কোনো বাস আসতে দেওয়া হচ্ছে না।