রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজার। এর কিছুটা দূরে তেজগাঁওয়ের মোল্লাবাড়ি বস্তি। সেখানে একতলা-দোতলার তিন শ ঘরবাড়ি। এগুলো কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি। এসব ঘরবাড়িতে বসবাস করতেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে আগুনে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায় তাদের ।
ফায়ার সার্ভিস বলছেন, ঘরগুলোতে বেশি কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুন লাগার কারণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আগুন নির্বাপণের পর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, “আগুনে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি আনুমানিক তিন শ ঘরবাড়ি পুড়েছে। কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত বস্তিতে শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন থেকে আগুন লাগে। কীভাবে এই আগুন লেগেছে, সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে পরে জানাব। রাতের ওই আগুনে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন। আগুনে পুড়ে গেছে বস্তির অন্তত তিন শ ঝুপড়ি ঘর। গভীর ঘুমে থাকাবস্থায় আগুন লাগায় বেশির ভাগ বস্তিবাসীই পরনের কাপড় ছাড়া জিনিসপত্র কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।”
আগুনে ঘর হারানো এক ভুক্তভোগী বলেন, যে যেমনে পারছে বের হইছে। কিছু নিয়ে বের হতে পারেনি কেউ।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা ঘুমে আছিলাম। এই টাইমেও জাগনা হইয়া কাঁচাবাজার যাই আমরা, মাল কিনি তো। হেই সময় উঠছি, কয় আগুন লাগছে, আগুন লাগছে। খালি বাইর হইছি হেইডাই, আর কিচ্ছু করতে হারি নাই।’
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনের খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারা। তবে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে। একপর্যায়ে ১৩টি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভোররাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবে।