• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুরোদমে চলছে চারুকলার বর্ষবরণের আয়োজন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
পুরোদমে চলছে চারুকলার বর্ষবরণের আয়োজন

শেষ হতে চলল বাংলা বর্ষপঞ্জির ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। সকল গ্লানি, জরা ঘুচিয়ে আসবে নতুন বছর, ১৪৩১ সাল। নতুন বছরকে বরণে বাঙালি উদযাপন করবে পয়লা বৈশাখ। হাতে আছে আর মাত্র কিছুদিন।

বাংলার এই উৎসবকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ১৪৩০-কে বিদায় জানিয়ে ১৪৩১ বরণে বিদ্যাপীঠের এই অনুষদের চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।

আয়োজকরা বলছেন, ঈদের ছুটির কারণে এ বছর লোকবল কমেছে। ফলে কাজের চাপ বেড়েছে গতবারের তুলনায় একটু বেশি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, বাঙালির প্রাণের এই উৎসকে ঘিরে শোভাযাত্রার জন্য পুরোদমে কাজ চলছে। তৈরি করা হচ্ছে পুতুল, ঘুঘু, চরকি, হাতি, মাছ, মুখোশ প্রভৃতি। চারুকলা বাইরের দেয়ালে চলছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তের তুলির আঁচড়।

এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনে কোনো স্পন্সর নেওয়া হয় না। এ কারণে গতবারের মতো এবারও স্টলে চলছে বিক্রি কার্যক্রম।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রাটি ১৯৮৯ সাল থেকে অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। ২০১৬ সালে ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে এই শোভাযাত্রা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সংস্কৃতির ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ভাস্কর্য তৈরি দায়িত্বে থাকা রাহাত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রত্যেকবারের মতো এবারেও কাজ চলছে। যত দিন এগিয়ে আসছে, ততই কাজের চাপ বাড়ছে। যেহেতু চারুকলা মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য স্পন্সরা নেয় না। তাই আমাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের শিল্পকর্ম বিক্রি মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করা হয়। এই লক্ষ্যে বিক্রি কার্যক্রমও চলছে। আমরা ১৩ তারিখের মধ্যে সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশাবাদী।”

চারুকলার সহযোগী অধ্যাপক অমিত নন্দী বলেন, “গত বছর পহেলা বৈশাখের পরে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। কিন্তু এবার ঈদের পরে পহেলা বৈশাখ। এই আয়োজন চারুকলাকে কেন্দ্র করে অনেক বড় একটি আয়োজন। এ বছর কাজের চাপ তো আছেই, তবে লোকবল কম। তবে পয়লা বৈশাখকে ঘিরে চারুকলার যে আয়োজন, তা কোনো অংশের কম নয়।”

সহযোগী অধ্যাপক শহীদ কাজী বলেন, “লোকবল কম হলেও কোনো কিছু থেমে নেই। আমাদের মূল শক্তি আমাদের শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য বছর এগুলোতে পয়লা বৈশাখের আগের দিন শেষ হয় দেয়ালিকা। কিন্তু এবার আগেই শেষ হচ্ছে। যেহেতু ঈদের ছুটি পড়বে, শিক্ষার্থীরা চলে যাবে। তাই আগে থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে এ বছর।”

Link copied!