ঈদুল ফিতরের আর মাত্র দুদিন। শেষ সময়ে চলছে নানারকম সুগন্ধ আর ফ্লেবারের আতর বেচাকেনা। তবে আমদানি করা আতদের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিতেও ভাটা পড়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। অনেকে আবার কম লাভেই আতর বিক্রি করছেন।
আতদের সবচেয়ে বড় বাজার বায়তুল মোকাররম ঘিরে। এখানকার ফুটপাত মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, নানা সুগন্ধি আর ফ্লেভারের আতর কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছেন ক্রেতারা। তবে বেচাকেনার চেয়ে ভিড়ই বেশি দেখা গেছে। গেলবারের চেয়ে এবার সব ধরনের আতরের দাম চড়া হওয়ায় দরকষাকষিও বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, এবার আমদানি করা আতরের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে বেচাকেনা আগের মতো আর নেই। অনেক ব্যবসায়ীই চিন্তিত। তারা আশা করেছিলেন, পনের রোজার পর থেকে আতর বিক্রি বাড়বে। তবে সেই আশায় গুড়ে বালি। মাঝখানে আর একদুদিন। এখনও জমে উঠেনি আতরের বাজার।
শফিক নামের এক ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “চার লাখ টাকার সুগন্ধি কিনেছি। দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। বাকিটা এখনও অবিক্রিত। ঈদের তো আর সময় নেই। এর মধ্যে সব আতর বিক্রি সম্ভব নয়। এবারের ব্যবসায় লোকসান না হলেও লাভের মুখ দেখা কঠিন।”
আরেক ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বললেন, “গতবার যে আতর ছিলো ১০০ টাকা, এবার সেটা ১৩০ টাকা। বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব থেকে আমদানি করা সুগন্ধির দাম বেড়েছে। অথচ আমরা দাম বাড়াতে পারছি না। কিছু সুগন্ধির দাম বাড়াতে বাধ্য হলেও ক্রেতা কমেছে আশঙ্কাজনক হারে”।
এদিকে আতরের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটা আতরে ৩০-৪০ টাকায় বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন তারা। হাকিম নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “নিজের পছন্দের একটা আতর কিনতে এসেছিলাম। দাম বেশি দেখে কিনতে পারলাম না। পরে অন্য একটা আতর কিনলাম। ১০০ টাকার আতর এবার ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
সজিব নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “আতর খুব বেশি কেনা যায় না। ছোট একটা সিসিতে আতর ভরে নিলেই অনেকদিন যায়। কিন্তু এই আতরে যদি ২০-৩০ টাকা বাড়ে তাহলে কেমন করে কিনবো।”