• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্পর্শকাতর সেই ফোনালাপে নারী কর্মকর্তাকে যা বলেছেন মতিউর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
স্পর্শকাতর সেই ফোনালাপে নারী কর্মকর্তাকে যা বলেছেন মতিউর

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তারই অধস্তন নারী কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের মধ্যে মোবাইল ফোনে আলাপচারিতার একটি স্পর্শকাতর অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এতে দেশজুড়ে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোদ এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ-শুধু মতিউর রহমানের বান্ধবী হিসেবে বহু অনৈতিক সুবিধা হাসিল করেছেন আরজিনা। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থে বনেছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক।

ঢাকায় অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নামে-বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। আরজিনার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত।

যে ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে-

মতিউর : ‘তোমার কাছে ... চাই, কখন দিতে পারবা?

আরজিনা : আজকে...!

মতিউর : আজকের প্রোগ্রাম ঠিক আছে?

আরজিনা : আজকে... কালকে যাই। আজ শুক্রবারতো, মানে কী বলে বের হব, কোনো ইয়ে পাচ্ছি না। বাসায় আছেতো। কালকে হলে ভালো হয়। কালকেতো থাকবা ঢাকায়।

মতিউর : দীর্ঘশ্বাস... ঠিক আছে। কালকে মনে হয় পারব না।

আরজিনা : কষ্ট পেলে... মানে শুক্রবারতো, কোনো ইয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। বাইরে যে থাকব, আবার মাইন্ড... মানে যদি কোনো সন্দেহ তৈরি হয়।

মতিউর : ফের দীর্ঘশ্বাস... ওকে।

জানা গেছে, মতিউর রহমানের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে নানা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এনবিআরের ওই আরজিনা খাতুন।

রাজধানীতে বিলাসবহুল ইন্টেরিয়রে মোড়ানো ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এনবিআরের ওই আরজিনা খাতুন। মাত্র ৩ বছরে আরজিনা কিনেছেন অন্তত ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আরজিনা খাতুন বর্তমানে রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার ছিলেন তিনি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আরজিনা খাতুন বলেন, “আমি আসলে যড়যন্ত্রের শিকার। আমার এক্স হাজবেন্ড একটা মামলা করেছেন, আমি একটা করেছি। আসলে সব মিলিয়ে আমি খুব বিপর্যস্ত। আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি, তাই উনি ক্ষিপ্ত হয়ে এগুলো করছেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই একটি মহল এই চক্রান্ত করছে।”  সূত্র : যুগান্তর

Link copied!