• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ চায় এফবিসিসিআই


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ চায় এফবিসিসিআই
সিডনিতে আয়োজিত সেমিনার। ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য জোরদারের পাশাপাশি দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ চেয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের শিল্পকারখানা স্থাপনের পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সব ধরনের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এফবিসিসিআই।  

মঙ্গলবার (২৯ মে) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

এদিন ‘বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারকরণ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এই আয়োজনে সহযোগী ছিল অস্টেলিয়ার ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং সিডনিতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল।

ড. যশোদা জীবন দেব নাথ বলেন, “বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও এখনো সেভাবে সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে না। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনো বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”

ওষুধ শিল্প, আইটি পরিষেবা, কৃষি প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেন যশোদা জীবন দেব নাথ।

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, “দক্ষতা, প্রযুক্তি ও জ্ঞানের আদান-প্রদানসহ উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।”

এসময় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো এবং বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুই দেশের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) বা একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) সম্পন্নের প্রস্তাব দেন তিনি।

চট্টগ্রাম ও সিডনির মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট চালুর আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি বলেন, “এটি বাস্তবায়ন করা গেলে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এর ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন ও লজিস্টিকস বাবদ খরচ যেমন কমবে, তেমনি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।”

Link copied!