ঝটিকা মিছিলের মধ্যে ‘ফ্যাসিবাদ’ লুকায়িত আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেছেন, “যারা এখন ঝটিকা মিছিলে করছে, তাদের হালকাভাবে নিলে হবে না। তারা ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে হুংকার দিতে চাচ্ছে। ঝটিকা মিছিলের মধ্যে ফ্যাসিবাদ লুকায়িত আছে, ঝটিকা মিছিলের মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্র লুকায়িত আছে। সুতরাং তাদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের গোডাউন রোডস্থ বশির ভিলায় যুদলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, সদর (পূর্ব) ও চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “লুট হওয়া অস্ত্র ও ফ্যাদিবাদের কাছে থাকা অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা হয়নি। এসব অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে তা আবার আমার আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এইটা আমাদের দাবি।”
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া এখনো দৃশ্যমান না। হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান না হওয়ায় ফ্যাসিবাদ সুযোগ নিচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করতে হবে। হাসিনার দুঃশাসন, দুর্নীতির সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত দৃশ্যমান করতে হবে।”
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “দেশের অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি, লুটের অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র ফ্যাসিবাদের হাতে রয়ে গেছে। যারা ঝটিকা মিছিল করছে তারা এসব অস্ত্র দিয়ে একটা শক্তি সঞ্চার করতে চায়। এ সুযোগ সরকার দিতে পারবে না। কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল হলো এ সরকার। এ জন্য এ সরকারের কাছে আমাদের দাবি বেশি। প্রত্যাশার জায়গা থেকে আমাদের দাবি, অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অস্ত্র যদি উদ্ধার না হয়, এ অস্ত্র বিএনপির বুকে আবার ব্যবহার করা হবে।”
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, “একদলীয় শাসনের কারণে হাসিনা পালিয়ে গেছে। বিএনপি কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের শাসনে বিশ্বাসী। আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা আছে বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করবো। আমরা আশা করি, আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণ বিএনপিকেই ক্ষমতায় আনবে।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান।
চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক এনায়েত উল্যার সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহম্মেদ প্রমুখ।