• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফারদিন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন : র‌্যাব


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৮:২১ পিএম
ফারদিন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন : র‌্যাব

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মুখপাত্র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

কমান্ডার আল মঈন বলেন, “প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, পরবর্তীতে (রামপুরার পর) ফারদিন কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, পুরান ঢাকার জনসন রোড, গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায় যান। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায় যে রাত ২টা ১ মিনিটে যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা হতে নিহত ফারদিনকে লেগুনায় উঠতে দেখা যায়। রাত ২টা ২০ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজের অপর পাশে তারাব বিশ্বরোডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লেগুনা থেকে নেমে যায় ফারদিন।”

আল মঈন আরও বলেন, “ব্রিজের তারাব প্রান্ত হতে মাঝখান পর্যন্ত দূরত্ব আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার। রাত ২টা ৩৪ মিনিট ৯ সেকেন্ডে সুলতানা কামাল ব্রিজের রেলিংক্রস করে ফারদিন এবং রাত ২টা ৩৪ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে ব্রিজের ওপর থেকে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঝাঁপ দেওয়ার পর রাত ২টা ৩৪ মিনিট ২১ সেকেন্ডে শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে পড়ে ফারদিন আর রাত ২টা ৩৫ মিনিট ৯ সেকেন্ডে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। রাত ২টা ৫১ মিনিটে ফারদিনের হাতের ঘড়িতে পানি ঢুকে অকার্যকর হয়ে পড়ে।”

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টসহ অন্যান্য সকল সংশ্লিষ্ট আলামত বিবেচনায় নিয়ে আমাদের তদন্তে বের হয়ে আসে যে, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন স্বেচ্ছায় সুলতানা কামাল ব্রিজ হতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করে। ফারদিনের মৃত্যু সংক্রান্ত অন্য কোনো সূত্র বা আলামত পাওয়া গেলে, তবে তা বিবেচনায় নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।”

এর আগে, বিকেলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।”

গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Link copied!