বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। হারুন অর রশীদ বলেন, “ফারদিন অন্তর্মুখী ছিলেন। তিনি সবার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে পারতেন না। তার রেজাল্ট ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছিল। প্রথম সেমিস্টারে সিজিপিএ ৩.১৫ আসে, তারপর কমতে কমতে ২.৬৭। এটা বাসার লোকজন বা আত্মীয়স্বজন কেউ জানতেন না।”
ডিবি প্রধান আরও বলেন, “বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেন যাওয়ার জন্য ফারদিনের ৬০ হাজার টাকার প্রয়োজন ছিল। বন্ধুরা তাকে ৪০ হাজার টাকা দেন। পরে একপ্রকার মানসিক চাপে পড়েই আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন।”
এদিকে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন—ডিবি এমন তথ্য জানানোর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা জানানো হয়।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।”
গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।