• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খুলে দেওয়া হয়েছে ফারাক্কার ১০৯ গেট, ঝুঁকিতে যেসব জেলা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
খুলে দেওয়া হয়েছে ফারাক্কার ১০৯ গেট, ঝুঁকিতে যেসব জেলা
ফারাক্কা বাঁধ। ফাইল ছবি

ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার (২৬ আগস্ট) গেট খুলে দেওয়া হয়।

এই বাঁধ খুলে দেওয়া ফলে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। এতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও। বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে আগে থেকে বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে এই গেট খুলে দেওয়ায় দেশের আরও কয়েকটি জেলায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন বলেন, “ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার খবরটি আমাদের জন্য বিপদজনক। এর ফলে দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ  আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”

সোমবার (২৬ আগস্ট) ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ১৮ বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানিস্তর বেড়ে যেতেই ফারাক্কা বাঁধের সব গেট (১০৯) খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি আসছে সেই পরিমাণ পানিই ছাড়া হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রকল্পের ৭৭.৩৪ ডেঞ্জার লেভেল অতিক্রম করেছে। ব্যারেজে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা না থাকার কারণে পানি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পানি ছাড়া না হলে ফারাক্কা ব্যারেজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়ার কারণেই বাংলাদেশ প্লাবিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে।

ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় অ্যালার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাত ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিল ব্যারাজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

Link copied!