দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় পৌঁছালে টুর্ককে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র তৌফিক হাসান।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফলকার টুর্কের দুই দিনের ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬ থেকে ৭ জন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে নির্বাচন, মানবাধিকার এবং নিরাপত্তা ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মানবাধিকার, নিরাপত্তা এবং নির্বাচন ইস্যুতে ঢাকা জাতিসংঘের কাছে নগদ সহায়তা চায়। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা চায় যে এই নগদ সহায়তা কোন কোন খাতে এবং কীভাবে খরচ করা হবে, সে বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা। শুধু তাই নয়, সেই সুপারিশমালা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের ঐকমত্য থাকতে হবে।
ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, টুর্কের এই সফরে অনেক বিষয়ে আলাপ হবে, তবে সফর শেষে আলোচিত বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলা নিয়েও তুর্কের সফরে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার ঢাকায় অবস্থিত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার টুর্ক ২৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এই সফরে তিনি অন্যদের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
টুর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষণ দেবেন, যেখানে তিনি সাম্প্রতিক প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।