আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ভবন খালি করতে হবে। ভবন মালিকদের নিজ উদ্যোগে ভবন ভাঙতে হবে। তা না হলে রাজউক এসব ভবন ভেঙে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৭টি ভবনকে মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য সেসব সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হবে।
শনিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার (১১ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির আহ্বায়ক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।
কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, “এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা বলেছি সাত দিনের মধ্যে ভবন থেকে সবকিছু সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এরপর তিন মাসের মধ্যে এসব ভবন ভাঙতে হবে।”
জানা গেছে, অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় সবচেয়ে বেশি ৩০টি ভবন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন রয়েছে।
যে ১৮৭টি ভবনকে ‘রেট্রোফিটিং’ করতে হবে তারমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন রয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ভবন আছে।
সম্প্রতি গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে প্রাণহানি এবং সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকেও সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।