চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৩২ দশমিক ৪৪৭ বিলিয়ন ডলার। যা লক্ষ্যে স্থির হলো রপ্তানি আয়। সাত মাসের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৪৩৭ বিলিয়ন ডলার। তবে জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে প্রবৃদ্ধি কিছুটা পিছিয়েছে। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের মাসে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে চলতি বছরে ছুটতে থাকা প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমলো।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
ইপিবির তথ্যমতে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপে যুদ্ধের দামামা আর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই চলতি বছরের শুরু থেকে রপ্তানি আয়ে ভাল খবর দিয়ে আসছিল। এ সময়ে দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। এই সংকটের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছিল রপ্তানি আয়ে। বাড়ছিল প্রতি মাসেই। এর মধ্যে রপ্তানি আয়ের কার্যাদেশ কিছুটা কমেছিল।
রপ্তানিকারকরা বলছিল, মার্চের দিকে রপ্তানি আয় কমে আসতে পারে। কিন্তু তার আগেই জানুয়ারি মাসে কিছুটা কমলো। যদিও চলতি বছরের প্রথম সাত মাস জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার চেয়ে কমেনি। পাশাপাশি আগের বছরের চেয়ে বেশি আছে প্রায় দশ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৪৩৭ বিলিয়ন ডলার। দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক কমলেই মোট রপ্তানি আয়ে ঝাঁকুনি লাগে।
তথ্য বলছে, তৈরি পোশাকের রপ্তানি কিছুটা কমার কারণে মোট রপ্তানি আয়ে এর প্রভাব পড়েছে। জানুয়ারি শেষে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। ডিসেম্বরে এ হার ছিল ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে মোট ২৭ দশমিক ৪১৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর ডিসেম্বর মাসে এ হার ছিল ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ। মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় কমার কারণেই কমেছে মোট রপ্তানি আয়। জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে অন্যান্য প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মৎস্য ২৯২ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৫৫৫ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং পাট ও পাটজাত পণ্য ৫৪৮ মিলিয়ন ডলার।