মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগ করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলী বাদীর নারাজি খারিজ করে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেন।
গত ২ জুন আদালতে মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকের নামে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। প্রতিবেদনের ওপর ফের নারাজি দেন মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। গত ১৩ জুন নারাজির আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য ৪ জুলাই দিন ধার্য করেন।
২০২৩ সালের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন আদালত। ওই মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ তিনি স্বেচ্ছায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করেন। বিজয়নগর কাজী অফিসে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বয়স ১৮ পূর্ণ হলে আসামি মুশতাক তাকে বিয়ে করেন। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে কেউ কোনো ধরনের প্ররোচনা দেননি বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।