অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জাতি ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, “সরকার বদলে গেছে। তুমি-আমি আগে যেমন ছিলাম, তেমনই আছি। জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সব আগের মতোই আছে, শুধু শেখ হাসিনা নেই।”
রোববার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন’ দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রচার দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি, তা বাস্তবায়ন হতে ৩১ বছর লাগবে। আরও বেশিও লাগতে পারে। কারণ একটা গাছ লাগালে ফলন আসতে সময় লাগবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহায়তা করব। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে ৯০ শতাংশ মানুষ ভোটে উপস্থিত হবে। ১৬ বছর ধরে জাতি অপেক্ষা করছে। তাই আপনারা জাতির সামনে পরিষ্কার করুন, কতদিনে নির্বাচন দেবেন।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “গত ১৬ বছরের একটা দাবি হলো, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, আর কিছু না। এর জন্যই এত রক্তক্ষরণ। জনগণের আকাঙ্ক্ষা ভোটাধিকার এটা আপনাদের একমাত্র এজেন্ডা। অন্য কোনো এজেন্ডা থাকার দরকার নাই। একটা সুন্দর নির্বাচন দেন। এখনো আপনারা নির্বাচন কমিশনেরই ফর্ম পরিবর্তন করতে পারেননি। জনগণ এতক্ষণে নির্বাচন কমিশনকে কবরে পাঠিয়ে দিতে পারত। তারা কিন্তু ধৈর্যশীল। আপনাদের কমিশনের পর কমিশন গঠন করতে হয়। একটার পরে আবার আরেকটা কমিশন করতে হয়।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা, এটা শুধুই টাইম কিলিং, আর কিছু না। কথা হলো নির্বাচনটা যত দ্রুত হবে, জনগণের অংশগ্রহণ হবে ততই বাঁধভাঙা। এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ড ব্রেক করে ৯০ শতাংশ জনগণ ভোট দিতে উপস্থিত হবে।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, “দেশের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে ছাত্ররা ভূমিকা রেখেছে। এ কারণেই তাদের প্রতি মানুষের দাবিটাও বেশি। আমিও মাঝে মাঝে বলতাম, যদি ছাত্ররা আমাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করত, তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার ৫-৭ দিনের বেশি থাকত না। আমরা আত্মবিশ্বাস আনতে পারি নাই, কিংবা আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ছাত্রদের অংশগ্রহণ অ্যালাউ করেনি। কিন্তু ছাত্রদের প্রত্যেক আন্দোলনে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে পাশে ছিল।”