কোরবানির বর্জ্য সবার আগে অপসারণ করা ওয়ার্ডকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এই ঘোষণা দেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, “ঈদের দিন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ দিন দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। রাত ১০টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। যে ওয়ার্ড আগে বর্জ্য পরিষ্কার করবে সে ওয়ার্ডকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে।”
মেয়র বলেন, “গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট হাট শুরু করেছিলাম। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় আমরা এ বছর ৮টি হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা রেখেছি। এখানে এসে দেখলাম একজন ক্রেতা যে গরুটি পছন্দ করেছেন সেই পরিমান টাকা তিনি সঙ্গে নিয়ে আসেন নাই। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে পছন্দের গরুটি কিনেছেন। আবার একজন বিক্রেতা গরু বিক্রির এতোগুলো টাকা সঙ্গে বহন না করে হাটেই ডিজিটাল বুথে ব্যাংক একাউন্ট খুলে তার একাউন্টে জমা করেন। ডিএনসিসির স্মার্ট হাটের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কোরবানির পশুর হাটগুলো মনিটরিংয়ের জন্য একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম কোরবানির হাটগুলো মনিটরিং করছে।”
মেয়র বলেন, “গত বছর নগরবাসীর সহযোগিতায় দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। আমি এ বছরও নগরবাসীর সহযোগিতা চাই। ডিএনসিসির প্রায় ১১ হাজার কর্মী কাজ করবে। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পলি ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে: জেনা: এ কে এম শফিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ উল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (অ.দা.) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।