বিএনপির সমাবেশ ও রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলাকারী প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেছেন, “বিএনপির সমাবেশে অনেক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাদের অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পুলিশের ওপর হামলাকারী এবং অগ্নিসংযোগ করা দুষ্কৃতকারীদের প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে।”
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে ঢামেক হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহাসমাবেশের সমালোচনা করে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমরা তাদের (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায়। এমনকি পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে অনেক পুলিশ সদস্যদের আহত করেছে। আহত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।”
আইজিপি আরও বলেন, “তারা (বিএনপি) মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার আগেই বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। ঘটনার সঙ্গে যেসব দুষ্কৃতকারীরা জড়িত তাদের প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হবে।”
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সাংবাদিক বন্ধুরা পুলিশ বাহিনীর মতো মাঠে দায়িত্ব পালন করেন। আপনারা নিজের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের মতো তারাও আক্রমণের শিকার হয়েছেন। দুষ্কৃতকারীরা চায় না তারা যে ছবি, তথ্য সংগ্রহ করেছেন, যেগুলো তাদের বিপক্ষে যায়। এ আশঙ্কায় তারা সাংবাদিকদের ওপরও আক্রমণ করেছে। আমরা প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
চৌধুরী হাসান সরোওয়ার্দী ও জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টার নির্বাচনের আগে কী পরিকল্পনা ছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, “এ ঘটনার বিষয়ে যাদের জড়িত পাচ্ছি তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। গোয়েন্দা তথ্য যেগুলো পাচ্ছি তা বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য বলছি না। কিন্তু সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”
এর আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নাশকতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে এক পুলিশ নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়।