শব্দদূষণ বন্ধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, “অসহনীয় শব্দ মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে শব্দদূষণ রোধে প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। এক্ষেত্রে আমাদের উচ্চশব্দ সৃষ্টি করা হতে বিরত থাকতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় ৬৪ জেলায় পরিচালিত শব্দের মানমাত্রা পরিমাপ সংক্রান্ত জরিপ কার্যক্রমের ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, “যানবাহন চালানোর সময় চালকদের অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। কল-কারখানা, নির্মাণ কাজ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও উচ্চ শব্দ সৃষ্টি পরিহার করতে হবে। আশা করি ভবিষ্যতে শব্দদূষণের ক্ষতি অনুধাবন করে মানুষ নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করবে।”
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়েছে, পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৬৪ জেলায় শব্দের মান মাত্রা নির্ণয়ের জন্য জরিপ হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। পরবর্তিতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে সংশোধন করা হবে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএ ও বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (ইএনটি) ডা. হুসনে কমর ওসমানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ডক্টর সীমা জামান।
৬৪ জেলার শব্দের মানমাত্রা পরিমাপ সংক্রান্ত জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন ইকিউএমএস ও ক্যাপসের টিম লিডার অধ্যাপক ডক্টর আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে শব্দদূষণ বন্ধে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।