রাজধানীতে কাঁচা সবজির দাম কমলেও বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে আরও বাড়তে পারে মুরগির দাম। আর সবজির দাম বাড়তে পারে রমজানের পরে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) নগরীর কারওয়ান বাজারে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা।
অপরদিকে, শুক্রবার সবজির বাজারে পটোল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। পাশাপাশি বেগুন, আলু, কাঁচা মরিচ, শসা, টমেটো, শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। কচুর লতি ৫০ থেকে ৮০, করলা ৪০ থেকে ৫০, সজনে ১১৫ থেকে ১২০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ এবং প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।
একই বাজারে গত সপ্তাহে পটল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা। পাশাপাশি বেগুন ৫০, আলু ৪০, কাঁচা মরিচ ৬০, বরবটি ৮০, শসা ও টমেটো ৫০, করলা ও ঢেঁড়স ৬০, কচু লতি ৯০, সজনে ১৮০ এবং শিম বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি।
দাম বেড়েছে গাজর ও চিচিঙ্গা। সপ্তাহের ব্যবধানে গাজর ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায় এবং চিচিঙ্গা ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
সবজি ক্রেতা হাসান বলেন, “অনেকদিন পরে আজকে বাজার করতে এসেছি। দাম তো সবজির কমই মনে হচ্ছে। তবে কতদিন বাজারটা এমন থাকবে এটা দেখার বিষয়।”
ইসলাম হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “সবজির বাজার মোটামুটি সবার জন্য ঠিক আছে। সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। ঈদের পর কী হবে বলা যাবে না।”
মুরগি ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, “দাম বাড়ার কারণ আমাদের জানা নেই। আমরা ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভে ব্যবসা করি। দাম বাড়ার কারণ খামারিরা ভালো বলতে পারবে।”
সবজি ব্যবসায়ী মোতালেব বলেন, “সবজির দাম কমেছে। তবে ঈদের পরে দাম বাড়বে। কারণ রমজানে মানুষ সবজি বেশি একটা খায় না। তাই দাম এখন কম। সরবরাহ বেশি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে কম।”