• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ভুল চিকিৎসা

নবজাতকের পর এবার মারা গেলেন সেই আঁখিও


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম
নবজাতকের পর এবার মারা গেলেন সেই আঁখিও

রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেলিভারির সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর মৃত্যুঝুঁকিতে পড়া মা মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন।

রোববার (১৮ জুন) দুপুর সোয়া পৌনে ২টার দিকে ল্যাব-এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়

মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের কমিউনিকেশন ম্যানেজার চৌধুরী মেহের ই খুদা।

চৌধুরী মেহের ই খুদা জানান, রোববার দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে তিনি মারা যান।

আঁখির ভাই শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, “সব প্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ আমরা কুমিল্লা নিয়ে যাব। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।”

আঁখি পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি। এসময় তার শারীরিক অবস্থা ‘স্বাভাবিক’ ছিল বলেও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্তও করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা। এরপর প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তার অধীনে মাহবুবাকে ভর্তি করা হয়। ওইসময় ডা. সংযুক্তা সাহা দেশেই ছিলেন না, অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের জানায়, সংযুক্তা সাহা আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন। অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তখন অস্ত্রোপচার করে বাচ্চা বের করা হয়। পরদিন শিশুটি মারা যায়।

ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি।

ওই ঘটনায় গত বুধবার ধানমন্ডি থানায় মোট ছয়জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা হলেন, ডা. মিলি, ডা. এহসান, অধ্যাপক সংযুক্তা সাহার সহকারী জমির এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপক পারভেজ।

এদিকে, গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহা এরই মধ্যে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা আসামি মুনার ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমি আসামি শাহজাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

Link copied!