রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এনামুল হক এনু ও রুপনের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-৩। অভিযানে এনুর বাসা থেকে নগদ ৮৮ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের ২ কেজি ৯০৮ দশমিক ৯৫ গ্রাম ওজনের ১৯ প্রকার স্বর্ণালংকার জব্দ হয়।
অন্যদিকে রুপনের বাসা থেকে নগদ ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণালংকার জব্দ হয়। পরে ওই ঘটনার পর এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর, ওয়ারী এবং গেন্ডারিয়া থানায় একটি মানিলন্ডারিং, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ ১১ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার বিচারকালে আদালত এ মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ওয়ারী থানার একটি অর্থপাচারের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত। একই সঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন, জয় গোপাল সরকার, মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।