• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে : বিদেশি পর্যবেক্ষক দল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে : বিদেশি পর্যবেক্ষক দল
প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত

বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নরওয়ের পর্যবেক্ষক দল।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশগুলোর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।

মার্কিন সাবেক কংগ্রেসম্যান মি. জিম বেটস, নির্বাচন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টেরি এল ইজলে ও আমেরিকার দ্য হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) চিফ অব স্টাফ আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও জাপানের পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যবেক্ষক দল জানায়, “আমরা বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। গতকাল আমরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মোট ২০টি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশের ভোট হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন থেকে বিরত ছিল এবং একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো।

তিনি বলেন, “আমরা যে কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি, সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পেয়েছি, তাদের ভোট দিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।  নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি দেখা যায়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছি।”

এক প্রশ্নের জবাবে আলেকজান্ডার বলেন, “কোনো দল অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু। তাই এ বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষক হিসাবে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। আমরা অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে বলতে পারি। আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সরকারি দলের প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটেছে, যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু সামগ্রিক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে সেসব ঘটনা খুবই নগণ্য।”

অন্যদিকে টেরি এল ইজলে বলেন, “যে নির্বাচন হয়েছে সে জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে যা আমরা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করি। নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল।”

Link copied!