নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতা নজরে এনে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন যে কোনো কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশনের যে ঘোষণা, তা বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার ও অবরোধ-অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব যে, নির্বাচন বর্জন করার জন্য এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে লিফলেট বিতরণ ও মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা যে মিছিল করা হয়, এগুলো নজরে এনে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের শক্তি, সামর্থ্য, সক্ষমতা প্রকাশ করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “কমিশন সারা দেশের বেশিরভাগ থানা পুলিশের ওসি বদলি করেছে, ইউএনও বদলি করেছে, ডিসি বদলি করেছে। অনেক প্রার্থীকে তারা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের দৃঢ়তা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং আমি আশা করি যে, নির্বাচনের বিরুদ্ধে যারা এখন মিছিল-মিটিং বা লিফলেট বিতরণ করছে, এটির বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
বিএনপির নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার যে আহ্বান জানাচ্ছে, সে দিকে কারও সাড়া নেই। এখন তারা লিফলেট বিতরণ করে। এই লিফলেট বিতরণ দেখে পুরান ঢাকায় আর ক্যান্টনমেন্টের দিকের কিছু বানরও পেছনের দিকে লাথি মারে। মানুষ আজ পুরোপুরিভাবে নির্বাচনমুখী।”
বিদেশিরা বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি যাদের দুয়ারে দুয়ারে নির্বাচন বর্জন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার এ সমস্ত কথা বলে ধরনা দিতো, তাদের দুয়ার বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের অনেকেই এসেছে এবং আসছে। অর্থাৎ এ নির্বাচনকে তারা গ্রহণ করেছে।”
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “বিএনপির অনেক কর্মী-সমর্থক ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে আছেন। তাদের অনেক সমর্থক নির্বাচনী প্রচারে যুক্ত হয়েছেন। তৃণমূল বিএনপি ও অন্যান্য দলের মাধ্যমে বিএনপির বহু নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।”