সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে দেশের সব অঞ্চলের ঈদগাহ ময়দান ও মসজিদে নামাজ আদায়ের উদ্দেশে বের হন মুসল্লিরা। অংশ নেন ঈদের জামাতে।
এবার রাজধানীর সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয় আগারগাঁওয়ে।সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জামাত শুরু হয়। এরপর একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয়।র্যালিতে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন।র্যালি শেষে মুসল্লিদের আপ্যায়ন করা হয়।
এছাড়া জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকারমসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দেশের অন্যতম বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে। এদিন সকাল ৯টায় নামাজ শুরু হলেও অনেক আগে থেকেই আসতে থাকেন মুসল্লিরা।
নামাজের খুতবায় সম্প্রীতি ও সাম্যের শিক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। ঈদ জামাতে অংশ নিতে আশেপাশের জেলা থেকেও আসেন অনেকে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়।
চট্টগ্রামে ঈদের প্রধান জামাত হয় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে। হাজারও মুসল্লি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই ঈদ জামাত হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে গোনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন মুসল্লিরা।
বরিশালে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে হয় প্রধান জামাত। এছাড়া বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদেও নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
রাজশাহীতে শাহ মখদুম ঈদগাহে জামাতে অংশ নেন প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এছাড়া সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহ’সহ সারা দেশেই ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। সবার কণ্ঠেই ছিল সম্প্রীতির বার্তা।