• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদে তেমন কোনো প্রভাব নেই সুগন্ধি চালে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৯:৫৫ পিএম
ঈদে তেমন কোনো প্রভাব নেই সুগন্ধি চালে

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলা ও নিত্যপণ্যের দাম। যদিও স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। বাজারে নতুন চাল আসায় কিছু কিছু চালের দাম কমলেও পোলাও-বিরিয়ানির জন্য ব্যবহৃত সুগন্ধি চালের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ফলে সুগন্ধি চালের বাজারে বিক্রিতে ভাটা পড়েছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর কারওয়না বাজার ও তেজগাঁওয়ের বিভিন্ন বাজার ঘুরে চালের বাজারের এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীতে মান ও স্থান ভেদে সুগন্ধী চাল চিনিগুড়া বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি বাসমতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, প্যাকেটজাত বাসমতি কোম্পানি ভেদে কাটারিভোগ ১৪০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজিতে। তবে মোড়কজাত ভারতীয় বাসমতি চালের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার কাছাকাছি। পাকিস্তানি বাসমতি চালের প্রতি কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়।

গত দুই মাসে সুগন্ধি চালের বাজারের দামের তেমন কোনো পরিবর্তন না হলেও বিক্রি কমে এসেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সুগন্ধি চালের বাজারে পড়েছে বলেও জানান তারা।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের নোয়াখালি রাইস স্টোরে চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি, কাটারিভোগ ১৪০ টাকা কেজি। বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে দোকানের বিক্রেতা শাওন বলেন, “ঈদের বাকি কয়েকদিন। কিন্তু তেমন কোনো বিক্রি নেই। কাস্টমার নাই। গত কয়েক বছরেও এমন মন্দা ছিল না। আসলে প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দামই তো বাড়ছে। মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে সবকিছু। সাধারণ মানুষ এখন শুধু মাত্র যেটা খুব প্রয়োজনীয় সেটাই নিচ্ছে। সুগন্ধী চাল না খেলে তো তেমন কোনো সমস্যা নাই। তাই বিক্রি নাই।”

একই কথা বলছেন কাওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের মালিক মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “প্রত্যাশা অনুযায়ী তো বিক্রি নাই। বাজারে কোনো ঈদের কাস্টমার নাই। পোলাও চালের দাম বাড়ছে।”

ঈদকে ঘিরে বিক্রি বাড়েনি রাজধানী তেজগাঁওয়ে। সেখানে খোলা চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। নাখালপাড়া এলাকার মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের মালিক বলেন, “কোনো কিছুরই বিক্রি ভালো হচ্ছে না। সুগন্ধি চালের বিক্রি তো খুবই কম। ঈদের কোনো প্রভাব নাই বাজারে।”

গত বছরের জুনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সুগন্ধি চাল ১৩৫টি দেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশি সুগন্ধি চালের বড় বাজার ছিল মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশেও সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছে ওই সময়। আগাম অনুমতি সাপেক্ষে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা যেত। তবে গত বছর দেশে দাম বেড়ে যাওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি ও সরু চাল রপ্তানি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। এরপর সুগন্ধি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়।

Link copied!