গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছে। সে সময় এক ধাপ বেড়ে যায় ডিমের দাম। অস্থিতিশীল বাজার স্বাভাবিক না হতেই ঈদ ঘিরে ঘোষণা ছাড়াই ফের আরেক ধাপ বাড়ল। সংকটকে কেন্দ্র করে ডিমের দাম বাড়ানো হলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে বাজারে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই দিন ধরে ডিমের দাম অনেক বাড়তি। লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৮০ টাকা। যা কিছুদিন আগে ছিল ১৪৫-১৫০ টাকা। এছাড়াও হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। যা কিছুদিন আগে ছিল ১৮০ টাকা।
খামারিরা বলছেন, বর্তমানে ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যেই উৎপাদন পর্যায়ে ডিম বিক্রি করছেন তারা। এতে ১০০ ডিমের দাম পড়ছে ১০৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১০৮০ টাকা। অথচ ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা দোকানগুলোতে প্রতিটি ডিম ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন দোকানে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এতে ডজনে ডিমের খরচ পড়ছে ১৬৫-১৮০ টাকা।
কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে এমন ডিমের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজি আর হিমঘরে ডিম মজুত করার কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ তাদের।
সাইনুর নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আগে জানতাম হিমঘরে আলু রাখা হয়। তবে এখন দেখছি ডিমও রাখা হয়। বড় বড় ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার আশায় ডিম মজুত করে বাজারে সংকট তৈরি করে রেখেছে। যার ফলে ডিমের দাম প্রতি পিস ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪-১৫ টাকা হয়েছে। এমন অবস্থায় ডিম খাওয়া সত্যিই খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
রফিক নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “ঢাকায় আমাদের মতো যারা ব্যাচেলর থাকেন, তাদের কাছে ডিম নিত্যদিনের খাবার। কারণ আমরা মাছ, মাংস বেশি কিনতে পারি না। তাই ডিম খেয়ে আমিষ চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করি। তবে এখন যেভাবে ডিমের দাম বাড়ছে, তাতে ডিম খাওয়া বাদ দিতে হবে।”
এদিকে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতারা অভিযোগ করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম আগের মতোই আছে।
শাহীন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, “ঈদের আগেও ডিমের দাম ১৫০ টাকা ছিল। ক্রেতারা যে অভিযোগ করছে সেটা ভিত্তিহীন। ডিমের সরবরাহ কম থাকার কারণে মাঝেমধ্যে দাম বাড়ে। তবে সেটা খুব বেশি নয়।”
শাহীন আরও বলেন, “বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাজারে সংকট তৈরি করে রাখে। তারা বলেন, ‘খামারে ডিম সরবরাহ কমেছে, তাই সংকট।’ আমরা যে দামে ডিম কিনে আনি তার চেয়ে সীমিত লাভে বিক্রি করতে হয়।”