মুরগি ও ডিমের বাজার দর বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে সে দামে বিক্রি হচ্ছে না এই দুই পণ্য। পাকিস্তানি এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে ২০ টাকা ও ডিমের বাজার ১০ টাকা বেড়েছে। তবে সোনালি মুরগি বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ২৬০ টাকা। অথচ দুই দিন আগেও ব্রয়লার ১৭০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
মোহাম্মদপুর মার্কেটের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, “আমরা কী করব? প্রতি কেজি মাত্র ১০ টাকা লাভ করি। দাম বাড়ছে পাইকারি ও খামারি পর্যায়ে। তবে এটা বৃষ্টি নাকি অন্য কারণে তারাই ভালো বলতে পারবে।”
এই বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৬০-১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা এবং ১৪ টাকা ১৬ পয়সা। অন্যদিকে একই বাজারে দেশি ডিম-২৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি প্রতিটি মুরগির ডিম ২০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা।
এ বাজারের ডিম বিক্রেতা সাজু বলেন, “আমরা কী করব, যদি বেশি দামে কিনতে হয় তাহলে তো লাভ কিছু করতে হবে।”
ডিমের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “গতকাল এক ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ পাইকারিতে ডিমের দাম আরও বেড়েছে। বাড়তি দামে কিনে আনার কারণে আজ ডিমের ডজন ১৬৫ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই।”
খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, “শুধু দাম বেঁধে দিলে হবে না। নিয়মিত বাজারে তদারকি করতে হবে। ডিমের দাম খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করে না। দাম কমাতে হলে পাইকারি পর্যায়ে দাম কমাতে হবে। আমরা কম দামে কিনতে পারলে অবশ্যই কম দামে বিক্রি করবো।”