রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টানা দুই রাত ডিমের সরবরাহ আসেনি। ফলে পার্শ্ববর্তী কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হতে দেখা যায়নি। দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম পাওয়া যাচ্ছে, যদিও সরবরাহ কম, দামও চড়া।
রাজধানীর কৃষি মার্কেটের সব দোকানে ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। তিনটি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেবল একটি দোকানে ১৮০ টাকা ডজন দরে ডিম বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, কাপ্তান বাজার থেকে ডিম কেনা যায়নি; সে জন্য ভিন্ন ব্যবস্থায় ডিম সংগ্রহ করতে হয়েছে তাদের। অন্যান্য বাজারে ডিম আছে, যদিও সরবরাহ কম।
এদিকে ডিমের নির্ধারিত দর বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। যেসব বাজারের ব্যবসায়ীরা তেজগাঁও আড়ত থেকে মূলত ডিম সংগ্রহ করেন, সেই সব বাজারে ডিমের সংকট আছে।
অভিযানে ডিমের দাম তেমন একটা কমেনি, বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর মোট তিনটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী আরশাদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল ও আজ দোকানে ডিম রাখা হয়নি। ডিম রাখলে ১৮০ টাকা ডজন দরে বিক্রি করতে হয়; তখন আবার ভোক্তা অধিদপ্তর জরিমানা করে।’ সে জন্য ডিমের দাম না কমা পর্যন্ত তিনি ডিম বিক্রির সাহস করছেন না।