• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডিমে বড় সুখবর, দূর হবে বাজারের অস্থিরতা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
ডিমে বড় সুখবর, দূর হবে বাজারের অস্থিরতা
ডিমের আড়ৎ।

ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম। ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার- রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে ডিম উৎপাদনকারি দেশের অপেক্ষাকৃত বড় খামারগুলো। প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও সারা দেশের ডিমের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।

ডিমের বাজারের অস্থিরতা দূর করার এই বিশেষ কার্যক্রমের তথ্য বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল’ (বিপিআইসিসি)।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৫ অক্টোবর সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ও দুপুরে প্রাণিসম্পদে পৃথক সভা হয়। সন্ধ্যায় ডিম উৎপাদনকারি বড় খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইন সভা আহ্বান করা হয়। পরদিন ১৬ অক্টোবর বড় খামারি, তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারের পাইকারি আড়ৎদারদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকায় ডিমের সরবরাহ ও বিপণন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে কাপ্তান বাজারে সরকারি দামে ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সময় স্বল্পতার কারণে যথাসময়ে ডিমের চালান পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় শুক্রবার থেকে তেজগাঁও বাজারের কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রমে ডিম সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগস লিমিটেড, প্যারাগন পোল্ট্রি, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, নারিশ পোল্ট্রি, ভিআইপি শাহাদত পোল্ট্রি, নর্থ এগ লিমিটেড, নাবিল এগ্রো, আর.আর.পি, রানা পোল্ট্রি, চাঁদ এগ্রো, কৃষিবিদ পোল্ট্রি, চিত্রা এগ্রো, আমান পোল্ট্রি এবং মেগা পোল্ট্রি। আফিল এগ্রো এবং প্রাণ এগ্রোও পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হবে।

বিপিআইসিসি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডাররা একত্রে বসে ডিমের যৌক্তিক উৎপাদন খরচসহ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে।

মসিউর রহমান আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিজনিত বন্যার কারণে দেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ জেলার পোল্ট্রি খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে দৈনিক প্রায় ৬০-৭০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে যায়; ফলশ্রুতিতে চাহিদা ও যোগানের মাঝে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়।

‘বিপিআইসিসি’ আগামী ১৫ দিনের যে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২ টাকায় পাওয়া যাবে।

Link copied!