হিরো আলমের এজেন্টকে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল না দেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, “এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।”
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তিনি (হিরো আলম) নন্দিগ্রামে এজেন্ট দেননি। বগুড়ার ডিসি আমাকে বলেছেন, তিনি নিজে অনেক কেন্দ্র ভিজিট করেছেন। সেসব জায়গায় হিরো আলমের কোনো এজেন্ট পাননি। কাহালুতে তার কিছু এজেন্ট ছিল। সেখানে অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট নেই বা রেজাল্ট দেওয়া হয়নি এমন কোনো অভিযোগ নেই।”
হিরো আলমের অভিযোগের বিষয়ে রাশেদা বলেন, “অনেকেই মুখে বলে ঝড় তোলে, কিন্তু প্রমাণ নিয়ে আমাদের কাছে আসে না। আমাদের সময়ে যত নির্বাচন হয়েছে তারা কেউ আদালতে গেছে বলে আমার জানা নেই।”
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উদাহরণ টেনে রাশেদা বলেন, “কুমিল্লা নিয়ে এতো কথা হলো। কই তারা তো আদালতে গেলেন না। তিনি (হিরো আলম) বলেছেন যাবেন, গেলে যাবেন। আমি তো অনেক কথাই মুখে বলতে পারি। তা প্রমাণ তো হতে হবে। অভিযোগ দেওয়া আর অভিযোগ প্রমাণ করা দুটার মধ্যে কিন্তু অনেক ফারাক।”
তিনি বলেন, “পত্রিকায় দেখেছি হিরো আলম ভোট নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। একটু অসন্তুষ্ট হয়েছেন। গণমাধ্যমে বিষয়টি আসার পর আমরা সকাল থেকে বিষয়টি নিয়ে রেকি করার চেষ্টা করেছি। বগুড়ার ডিসি, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, টিএনও সাহেবের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সিইসি নিজে কথা বলেছেন। ডিসি সাহেব আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, রেজাল্ট হান্ড্রেড পারসেন্ট সঠিক।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটের আগের প্রক্রিয়াগুলো বা আচরণবিধি যে খুব একটা ভঙ্গ হয়েছে তা আমাদের কাছে মনে হয়নি। কোনো কিছু আমার নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিসি-এসপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দৃষ্টিতে দিয়েছি। কোনো প্রার্থী কিন্তু কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। নির্বাচনের পূর্বের প্রস্তুতি ভালো ছিল। আর ভোটের দিন কোনো অনিয়মই হয়নি। আমার মনে হয়, পুরো ভোট সন্তোষজনক হয়েছে।”
এর আগে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। ফলাফল ঘোষণার পর হিরো আলম অভিযোগ করেন, উপনির্বাচনের ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতেও যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।