দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে এ বৈঠক হবে।
এবার নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবেন। তাদের মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাব ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড ২ হাজার ৩৫০ জন এবং বিজিবি সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
ইসিসূত্রে জানা যায়, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।