• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩০, ৫ রজব ১৪৪৬

ভোটার তালিকা বিতর্কিতের ৩ কারণ জানালেন ইসি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
ভোটার তালিকা বিতর্কিতের ৩ কারণ জানালেন ইসি
প্রেস ব্রিফিং। ছবি : সংগৃহীত

ভোটার তালিকা বিতর্কিতের ৩ কারণ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, “ভোটার তালিকা বিতর্কিত হওয়ার পেছনে ৩টি কারণ চিহ্নিত করেছে কমিশন। এ জন্য তারা বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

৩টি কারণ প্রসঙ্গে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “প্রথম কারণ, মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ না পড়া। দ্বিতীয়ত, দ্বৈত ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা। আর তৃতীয়তটি হলো বিদেশি নাগরিক প্রতারণার মাধ্যমে তালিকা ভুক্ত হয়েছেন কিনা। সম্প্রতি আমরা একাধিক এমন ইনসিডেন্ট পেয়েছি।”

বিভিন্ন টকশোতে বলা হচ্ছে ভোটার তালিকা সঠিক নয়। আজ যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করলেন তা সঠিক কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “বিতর্কিত ভোটার তালিকা আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি। আপনারা আলোচনা করেছেন এবং আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝেও এ ধরনের একটা পারসেপশন আছে। আমাদের বাড়ি বাড়ি যাচাই করতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো এটি।”

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “এ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর শুদ্ধ ভোটার তালিকা ছাড়া কনফিডেন্ট মনে করছি না। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করা। আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, ভোটার তালিকাকে যে বিতর্কিত বলছি, আমরা শুদ্ধতার অভাব বলছি।”

ভোটার তালিকা বিতর্কিতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “চট্টগ্রাম এলাকায় রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারেন, সেজন্য একটা বিশাল ব্যবস্থাপনা আছে এবং ওই এলাকাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে সেখানে আলাদাভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। এ কড়াকড়ি থেকে বাঁচতে ৩০ জন রোহিঙ্গা নীলফামারী সদরে গিয়ে ভোটার হয়েছেন। এগুলোর প্রমাণ আমাদের সামনে আছে। এভাবে আমাদের ভোটার তালিকা বিতর্কিত হয়েছে।”

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করতে যান, সেখানে স্থানীয় কোনো ব্যক্তি আমাদের সহায়তা করেন, সেখানে দেখা যায়, নিজের ভোটার যারা আছে তাদের বয়স বাড়িয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেন। আবার দেখা যায় অন্য কারও ১৮-১৯ বছর হলেও ভোটার তালিকাভুক্ত হতে দেন না।”  

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, “এর বাইরে আরও অনেক ধরনের কারণ আছে। তবে এগুলো মূল। আমরা এবার সেভাবে সেনসিটাইজ (সংবেদনশীল) করছি। ইতোমধ্যে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার দুটি বিভাগ পরিদর্শন করেছেন। আমরা কমিশনাররাও পরিদর্শনে বের হব। আমাদের ডিজি এনআইডিসহ আমাদের সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কমিশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। আশা করছি,  ভোটার তালিকার বিষয়টি নিয়ে আমরা একটা সন্তুষ্টির জায়গায় পৌঁছাতে পারব।”

Link copied!