ঢাকা নিউ মার্কেটস্থ নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যক্তি/ স্বার্থান্বেষী মহল নিউ মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত পথচারী পারাপার সেতুর (ফুটওভার ব্রিজ) সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে করপোরেশন কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগকে সম্পর্কিত করার অপচেষ্টা করছেন। ফলে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ডিএসসিসি।
ঢাকা নিউ মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত পথচারী পারাপার সেতুটি (ফুটওভার ব্রিজ) গত বছরই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। তখন সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ফলক ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে লোকজন চলাচল করছিল, যা অত্যন্ত অনিরাপদ। এমতাবস্থায় দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ১২ এপ্রিল সেই সেতুটির সঙ্গে মার্কেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত সেতুটির সঙ্গে মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং করপোরেশন আজকের মতো কার্যক্রম শেষ করে।
এদিকে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আগুন লাগে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। সুতরাং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের সময় হতে আধা ঘণ্টারও বেশি আগে সম্পন্ন সেতুর সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কার্যক্রমের দৃশ্যত ও অদৃশ্য কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেতু অপসারণের সঙ্গে আগুন লাগাকে একসূত্রে গাঁথার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে করপোরেশন কর্তৃক সেতু বিচ্ছিন্নকরণের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই।
কারণ, সেতু বিচ্ছিন্নকরণ স্থান থেকে ৪০০ ফুটের অধিক দূরত্বে আগুন লেগেছে। সেতু বিচ্ছিন্নকরণে করপোরেশন কোনো গ্যাস কাটার ব্যবহার করেনি। হুইল এক্সকাভেটর ব্যবহার করে সেতু বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। আর বিচ্ছিন্নকরণ স্থানে করপোরেশনের কর্মকর্তা, ডিপিডিসির কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। যাতে করে নিরাপদে এই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা যায়। এ ছাড়া সেতুর সঙ্গে মার্কেটের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের আগে থেকেই সেতুর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা কাম্য নয়। তথাপি, এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা সর্বাত্মক অগ্রাধিকার। সেই লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
এই অবস্থায় দুর্যোগের এই কঠিনতম সময়ে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভিত্তিহীন সংবাদ ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ডিএনসিসি।