আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলবে। তবে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালাতে চালকদের মানতে হবে বেশকিছু শর্ত।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত টোল দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত টোলবুথ ও নির্ধারিত লেন ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত লেন পরিবর্তন করা যাবে না। ওভারটেকও করা যাবে না। চালক ও আরোহীকে হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সেতুর ওপর দাঁড়ানো বা ছবি তোলা যাবে না। চালকসহ সর্বোচ্চ দুইজন মোটরসাইকেলে চড়তে পারবেন।
বর্ণিত শর্তসমূহ প্রতিপালন করে পদ্মা সেতু ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
শৃংখলা না মানলে মোটরসাইকেল চলাচলের এ সুযোগ বাতিল করা হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে এদিন দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “পরীক্ষামূলকভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার। কোনোভাবেই সার্ভিস লেনের বাইরে মূল সেতুতে মোটরসাইকেল আসতে পারবে না। নির্ধারিত হারে টোল দিতে হবে। নিয়ম ভাঙলে জরিমানা করা হবে এবং প্রয়োজনে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে এ সুবিধা।”
গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। তারপর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পরদিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন সকাল ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে রিট করা হয়েছিল। পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ কেন বেআইনি হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
পরে গত ১৫ জানুয়ারি পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে করা ওই রিটের শুনানি আট সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট। আট সপ্তাহ পর রিট আবেদনটি ২৯ মার্চ আবার কার্য তালিকায় এলে এটি আরও চার সপ্তাহের জন্য মূলতবি করা হয়।