বেসরকারি বা প্রাইভেট ফার্মের চাকরিজীবী আর পোশাক শ্রমিকদের শেষ অফিস হয়েছে শনিবার (১৫ জুন)। অফিসে হাজিরা দিয়েই অনেকে ধরেছেন বাড়ির পথ। যাদের আগে থেকে ট্রেন বা বাসের টিকিট কাটা ছিল না তারা নিজেদের নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন। যাদের কপাল ভালো তারা রাস্তায় কোনোরকমে বাস বা ট্রাক ধরে ফেলছেন। কেউ কেউ আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন সড়কের পাশে।
তাদের মধ্যে তরুণদের অবস্থা অনেকটা বেপরোয়া। তারা বাড়ি যাবেই যেকোনো ভাবে। এমনি দুই একজনকে দেখা গেছে, ট্রাক আটকে উঠে পড়তে। চালকের হাতে বাড়তি টাকা গুঁজে দিয়ে পাশের আসনেই বসে পড়ছেন। অনেকেই আবার বাসে ঝুলে ঝুলেও ফিরছেন।
চলতি বছরের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ১৬-১৯ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার নির্ধারিত সরকারি ছুটি। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। সব মিলিয়ে চাকরিজীবীরা এবার ছুটি পাচ্ছেন পাঁচদিন। এই ছুটি পরিপূর্ণভাবে কাটাতে বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করেই বাড়ি ছুটেছেন অনেকে। তবে যারা বেসরকারি বা প্রাইভেট ফার্মে বা পোশাক কারাখানায় কাজ করেন তারা বের হয়েছে শনিবার (১৫ জুন)।
কয়েকজন তরুণ চাকরিজীবী বললেন, শনিবার বাধ্যতামূলক অফিসে আসতে হবে। সেজন্য কোনোরকমে অফিসে হাজিরা দিয়েই তারা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তবে পথে বেরিয়ে বিপদে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে, ট্রাক চালকদের ধরতে হচ্ছে। তাদের অনেকেই দূরের কোনো জেলায় যাচ্ছেন। জেলায় জেলায় মিলে গেলেই উঠে পড়ছেন ট্রাকে। এজন্য চালকদের খুশিও করতে হচ্ছে।