অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, “ধর্ষণ মামলার আইন সংশোধনে খসড়া প্রস্তুত। দুয়েকদিনের মধ্যে খসড়ার কাজ শেষ করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।“
বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
এর আগে সচিবালয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মঞ্চের ২৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিল।
এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের নেত্রীদের জানানো হয়েছে। আমরা গত পরশু (১০ মার্চ) ও গতকাল (১১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে পরামর্শ সভা করেছি। আমার একটা খসড়া (সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন) আইন করেছি, সেটি আজ আমরা সার্কুলেট করছি কিছু কিছু স্টেক হোল্ডারের কাছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা আইনটি কঠোর করার চেষ্টা করব।”
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “ধর্ষণ মামলার বিচার যাতে শুধু দ্রুত না, বিচারটা যাতে নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ হয়-আমি এগুলো তাদের বলেছি।”
বৈঠক শেষে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধিরা বলেন, “আমরা মনে করি পাঁচটি দাবি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে ধর্ষণের ঘটনা কমে আসবে। মাগুরার ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।”
ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের দফাগুলো হলো-
১. আছিয়ার মামলার ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা এবং ১ মাসের মধ্যে আসিয়ার ধর্ষকের বিচারিকপ্রক্রিয়া সম্পন্ন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আছিয়ার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. প্রত্যেক ধর্ষণ মামলার বিচারে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন করে সকল ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
৪. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।